নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। অবসরে যাওয়ার পর চুক্তিতে ২ বছরের জন্য মহাপরিচালক হলেন। গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী অবসরোত্তর ছুটি ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে তিনি মহাপরিচালক (গ্রেড-২) পদে এই নিয়োগ পেয়েছেন।

চাকরির মেয়াদ শেষে গত ১লা অক্টোবর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান ইয়াহিয়া মাহমুদ। ইয়াহিয়া ২০১৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি চলতি দায়িত্বে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হন।

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৮৫ সালে মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। তিনি চাকরিরত অবস্থায় ২০০০ সালে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে নাগাসাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও ২০০৩ সালে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। তিনি বিএফআরআইয়ের পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

ইয়াহিয়া মাহমুদ বাগেরহাটে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। দেশ-বিদেশের জার্নাল ও সাময়িকীতে তাঁর ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে মৎস্য বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। পেশাগত কাজে ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তিনি ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও চীন সফর করেছেন।

ইয়াহিয়া মাহমুদের স্ত্রী ড. মোহসেনা বেগম তনু বিএফআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন। তিনি মুক্তা বিজ্ঞানী হিসেবেও পরিচিত। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ ভাকুরী (শেখ বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ