ডেস্ক প্রতিবেদন: ৬ গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে দেশের ছোলার আমদানি ও রপ্তানি। এলসি খোলা থেকে শুরু করে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণও করছে এই গ্রুপ গুলো। কোন রকমের বিচার বিবেচনা না করেই দাম বেঁধে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। রোজার আগে একবার দাম বৃদ্ধির পর আবার ছোলার দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। এখন প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৭ থেকে ৯০ টাকায়। শুল্কহার না থাকায় চাহিদার চেয়ে দেশে অনেক বেশি আমদানি হয়েছে রোজায় ইফতারির অন্যতম এই অনুসঙ্গ এ পণ্যটি।

বাংলাদেশে সরাবছর ছোলার তেমন চাহিদা না শুধুমাত্র রমজান মাসেই ইফতারের সামগ্রী হিসেবে অন্তত অতিরিক্ত ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলার চাহিদা সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ছোলা আমদানি করা হয়। পাশাপাশি স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি হয়। এবার দেশের সব ছোলার বাজারেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ৬টি প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ।

যেসব সব ছোলা গত কয়েক মাসে আমদানি করা হয়েছে সেগুলো এখন শিল্পগ্রুপগুলোর গুদামে। রোজা শুরুর আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের চাকতাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত ছোলা আছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট না তৈরি হলে ছোলার কোনো সংকট হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৬৯২ কোটি টাকা মূল্যের ৯৩ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করেছে শিল্পগ্রুপগুলো।

পবিত্র রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ছোলা। চাহিদার বিপরীতে এটির অতিরিক্ত আমদানিও হয়েছে। পাশাপাশি সরকার কমিয়েছে শুল্ক। তবুও ছোলার দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসছে না। যার মূল কারণ হচ্ছে, দেশের ছোলার বাজারের নিয়ন্ত্রণ এখন ৫ থেকে ৬টি করপোরেট হাউসের হাতে।