এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: মিথ্যা তথ্যে বালাইনাশকের বিজ্ঞাপন প্রচার, নিবন্ধন ছাড়া বালাইনাশক বিক্রি এবং মজুদের সাজা বৃদ্ধি করে এ বিষয়ে আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে আইন সভা। আইন ভঙ্গকারীদের লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

‘বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস) বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সোমবার সংসদে প্রস্তাব করা এ বিলটি পরে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে বিলের ওপর দেওয়া জনমত পাঠানোর পাশাপাশি সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। ১৯৭১ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে জানান, ‘দেশে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি কাজে বালাইনাশকের আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, বিক্রয়, বিতরণ, ব্যবহার ও অনুসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনটির প্রয়োজন।’

বিলে উল্লেখ কর করা হয়েছে, ‘রেজিস্টার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি বা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত, মজুদ বা বিজ্ঞাপন দিলে যার ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজ চিহ্নিত ব্র্যান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণ যুক্ত না হলে এবং বিজ্ঞাপনে বালাইনাশক মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’

কেউ এ অপরাধ করলে সর্বোচ্চ তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। অনাদায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ আবার (দ্বিতীয়বার) করলে জরিমানা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ও অনাদায়ে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ডিলারকে মিথ্য তথ্য দিলে অর্থদণ্ড হবে। উৎপাদনকারী বালাইনাশক আইনের বিধান অনুযায়ী উৎপাদন করা হয়েছে বলে ডিলারকে মিথ্যা নিশ্চয়তা দিলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এছাড়া আইনে বালাইনাশকের নিবন্ধন নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার, বালাইনাশকের মান কমানো, পরিদর্শককে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া ও নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য দিলে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরিদর্শক বা উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া এই আইনের অধীনে আদালত কোনো মামলা আমলে নেবে না। সূত্র: সংসদ ও বিডিনিউজ।