ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় উপকূল বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী ও নাগরিক সমাজের নেতারা। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

এছাড়া মানববন্ধনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে হাওর উন্নয়নের বোর্ড গঠন, সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রোধ ও পর্যটনশিল্পের বিকাশে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষির ওপর প্রভাব

সামাজিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’, বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাস’র চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, দাতা সংস্থা কেএনএইচ জার্মানির বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাটিলদা টিনা বৈদ্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কক্সবাজার শাখার সদস্য সচিব কলিম উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, কক্সবাজার খেলাঘর আসরের সংগঠক এম জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক কাজী সোহাগ, গাজী শাহনেওয়াজ, জাহাঙ্গীর কিরণ, সিরাজুজ্জামান ও শাহজাহান মোল্লা, ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা অদৃতা সৃষ্টি প্রমুখ।

উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল এখনো অবহেলিত। দুর্যোগে বিপর্যয় নেমে আসছে। টেকসই বাঁধের অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতো সুমুদ্র সৈকতও ভাঙনের কবলে পড়েছে। তাই সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার স্বার্থে বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

আরও পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মাটিতে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতে হুমকিতে মৃত্তিকা

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত নষ্ট হয়েছে। কক্সবাজার সৈকতও হুমকির মুখে। এই অবস্থায় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

তিনি বলেন, সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মেগা প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীতে জাতীয় সংসদে আলোচনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উপকূল বোর্ড গঠনের দাবি শিরোনামে লেখাটির তথ্য জাগো নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি