ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাজারব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ এবং উৎপাদনকারীকে সুবিধা দিতে হচ্ছে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি’ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি- ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথম এবং বর্তমান সরকারের ১০৮তম মন্ত্রিসভা বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এই নীতিমালা দ্বারা চেষ্টা করা হয়েছে মূলত বাংলাদেশের কৃষির যে উৎপাদন হয় এবং দেশে যে প্রচলিত বাজারব্যবস্থা আছে সেটাকে আধুনিকীকরণ করা।

এ জন্য কিছু কৌশল বা লক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। সেখানে কীভাবে কৃষির বিপণনকে বাজারমুখী করা এবং উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়গুলো এখানে আনা হয়েছে।

কৃষি বিপণন নীতিমালায় কী কী সুবিধা থাকছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি ব্যবসায় বিক্রির সংযোগ বৃৃদ্ধি করা হবে। কৃষিপণ্য বিপণনে সহায়ক বাজার তথ্যব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক, গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোর দার করা হবে।

কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজীকরণ করা হবে। আধুনিকায়ন করা হবে। কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন। কৃষি বিপণন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুবউন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কৃষিব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা হবে।

এছাড়া কৃষিবাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে ডিজিটাল মার্কেট করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে- বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, কৃষি পরিবহন সাপ্লাইচেইনের উন্নয়ন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষিপণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ করা হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা ও শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। কৃষি উন্নয়নে বিপণন ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষি বিপণনে দক্ষজনবল গঠন করা হবে। কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ রকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি বিপণন নীতিমালা আছে তবে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো নীতিমালা নেই। আপনারা জানেন যে সারাবিশ্বে এখন বাংলাদেশের কৃষিজাতপণ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশের কমিউনিটি যারা আছেন তারা ব্যবহারের সুযোগ পান না এবং স্থানীয় যারা আছেন তারাও এখন বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন একটা বাজার তৈরি হয়েছে।

সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বাইরে রপ্তানি করতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি প্রসেসের মাধ্যমে যেতে হবে। যাতে প্রক্রিয়াজাতকরণ যেন আধুনিক হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয় সে জন্য একটা নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী- বলেন মাহবুব হোসেন।

তাহলে কি নতুন আরেকটা কৃষিজাত পণ্যের জন্য নীতিমালা আসছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি নীতিমালা হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ