আন্তর্জাতিক নিলামে দেশের চায়ের

আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নভেল করোনাভাইরাসে আঘাত ভারতের চা শিল্পেও লেগেছে। বৈশ্বিক মহামারীতে অন্যান্য অনেক খাতের মতো বড় ধাক্কা খেয়েছে দেশটির চা শিল্প। জুনে ভারতজুড়ে চায়ের বিশেষ নিলাম আয়োজন হতে যাচ্ছে।

এ মহামারীর মধ্যেই গত ২১ মে মধ্যেই উদযাপন হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল টি ডে। লকডাউনের কারণে সেদিন ভারতের চা বিপণন কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ একটি নিলাম আয়োজনের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। এবার সেই নিলাম আয়োজনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে টি বোর্ড অব ইন্ডিয়া। খবর বিজনেস লাইন ও ইকোনমিক টাইমস।

লকডাউনের কারণে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও সেদিন বিশেষ নিলাম আয়োজন থেকে সরে আসে টি বোর্ড অব ইন্ডিয়া। এখন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২২ জুন সাময়িক স্থগিত হয়ে যাওয়া চায়ের সেই বিশেষ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

ওই দিন সকাল ৮টা থেকে চলবে নিলাম প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, আসামের গুয়াহাটি, কেরালার কোচি, তামিলনাড়ুর কনোড়ের নিলামঘরে একযোগে এ বিশেষ নিলাম কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এরই মধ্যে ভারতের চা খাতের অন্তত ২৮৬ প্রতিষ্ঠান বিশেষ এ নিলামে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছে।

এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতজুড়ে লকডাউনের ঘোষণায় অচলাবস্থায় পড়ে দেশটির চা বাগানগুলোর সব কার্যক্রম। বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ১ হাজার ৪২২টি টি এস্টেটের উৎপাদন কার্যক্রম।

দেশটিতে আড়াই লাখের বেশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র চা উৎপাদনকারীও এ লকডাউনের আওতায় পড়েছেন। ফলে চলতি বছর দেশটির চা কোম্পানিগুলো বড় ধরনের লোকসানে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছর ভারতের চা কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ হাজার কোটি রুপিতে (ভারতীয় মুদ্রা)।

ভারতের চা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ লকডাউনের জেরে দেশটির বাগানগুলোতে চায়ের উৎপাদন ১০ কোটি কেজি কমে যেতে পারে। আর্থিক হিসাবে যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ হাজার কোটি রুপির মতো।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। কারণ মার্চ-এপ্রিল সময়ে ভারতের মোট চা উৎপাদনের শতকরা ১৫ ভাগ উৎপাদিত হয় এ দুই রাজ্যে।

জুনে ভারতজুড়ে চায়ের বিশেষ নিলাম আয়োজন শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বণিক বার্তা সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।