ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধনিয়া চাষের আধুনিক কৌশল ও পরিচর্যা জানা থাকলে লাভবান হওয়া সম্ভব। ধনিয়ার বীজ রোপন চাষিদের বড় সমস্যা। তাই ধনিয়া চাষে কিছু দিকনির্দেশনামূলক তথ্য জানা প্রয়োজন।

শুরুতেই মাটি ও আবহাওয়া: প্রায় সব রকমের মাটিতেই ধনিয়ার চাষ করা যায়। তবে বেলে দোআঁশ থেকে এটেল দোআঁশ মাটি ধনিয়া চাষের জন্য উপযোগী। ধনিয়া আবাদের জন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

বপনের সময়: মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-আশ্বিন (সেপ্টেম্বর মাস)। জমি তৈরি: মাটির প্রকারভেদে ৪-৬টি চাষ ও মাই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।

বীজের হার: হেক্টরপ্রতি ৮ কেজি। বীজ বপন: বীজ বোনার আগে পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ ছিটিয়ে বোনা হলে হেক্টরপ্রতি দ্বিগুণ বীজ ব্যবহার করতে হবে। ধনিয়া মিশ্র ফসল হিসেবে সার পদ্ধতিতে বপনের জন্য ৪-৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হবে।

ধনিয়া চাষের জন্য নিমণরূপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।

সারের নাম সারের পরিমাণ/গাছ :গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৮০-৩১০ কেজি, টিএসপি ১১০-১৩০ কেজি, এমপি ৯০-১১০ কেজি

আরোও পড়ুন: ছাদ বা বাড়ির আঙ্গিনায় মরিচ চাষে যা করতে হবে

সার প্রয়োগ পদ্ধতি: জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর, সমুদয় টিএসপি ও অর্ধেক এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর চারা রোপনের এক সপ্তাহ পূর্বে মাদায় দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর চারা রোপন করে সেচ দিতে হবে।

ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমপি সার ২ কিস্তিতে প্রয়োক করতে হবে। চারা লাগানোর ৮-১০ দিন পর ১ম কিসিত্ম এবং চারা লাগানোর ৩০-৫০ দিন পর বাকি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: পাতা ফসলের জন্য চারা গজানোর ১০-১৫ দিন পর সারিতে ৫ সেমি পর পর একটি চারা রেখে বাকিগুলো তুলতে হবে। বীজ ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ সেমি পরপর একটি চারা রাখতে হবে।

নিড়ানি দিতে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে।প্রতিবার সেচের পর জমির জো আসা মাত্র মাটির চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। ধনিয়ার জমিতে পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

জেনে নিন ধনিয়া চাষের আধুনিক কৌশল ও পরিচর্যা সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ