পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ ভাইরাসে ৫ হাজার হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা জানান, এতে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানার ১ হাজার ৭০০ হাঁস, হিমাইল গ্রামের খামারি সাইফুলের ১ হাজার ৪০০ হাঁস, মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামের খামারি রিমা আক্তার নিশির ১ হাজার ৬০০ হাঁস এবং একই গ্রামের খামারি শফিকুলের ২০০ হাঁস ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে।

খামারিদের অভিযোগ, খামারে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন করেন এলাকার অনেকেই। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাদের খামারে যান না। হাঁস রোগাক্রান্ত হলে তারা প্রাণিসম্পদ অফিসে যান। ডাক্তাররা শুধু ব্যবস্থাপত্র দেন। কোনো ওষুধ দেন না।

আরোও পড়ুন: হাঁসের ডাক প্লেগ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

হাঁসের কলেরা রোগের ১০ লক্ষণ ও প্রতিকার

শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, হাঁস পালনের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে তার দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়া আছে। হাঁসের খামারে মড়ক দেখা দেয়ায় এক সপ্তাহে তার অন্তত ১ হাজার ৭০০ হাঁস মারা গেছে। প্রতিটি হাঁসের বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ধরে তার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই কথা জানিয়েছে এলাকার বেশ কয়েক খামারি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব গণমাধ্যমকে জানান, অল্পদিন আগে তারা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কেউ খামারে যাওয়ার কথা বললে তারা পরিদর্শনে যান। ওষুধের বরাদ্দ সীমিত, ছোট পরিসরে যারা হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ দিলেও খামারিদের দেয়া যায় না।

তিনি বলেন, হাঁস খামারিদের চিকিৎসা দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) ডা. মো. নুরুজ্জামান। মারা যাওয়া হাঁসের ময়নাতদন্ত করে এটিকে তিনি (ভিএস) হাঁসের ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ রোগ বলে শনাক্ত করেন এবং চিকিৎসা দেন।

এগ্রিকেয়ার/ এমএইচ