নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীন টক মিস্টি স্বাদের বেগুনি ফল বারি ফলসা-১ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টক মিস্টি স্বাদের পরিপক্ক ফলের রং পুরোপরি বেগুনি হয়। এ ফলের ৮৮ শতাংশই খাওয়া যাবে। এই ফলের মিষ্টতা ২৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র।

উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চরাঞ্চল এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই মাঠ দিবস।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রে এই কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন ছিলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ।

এতে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. সমজিৎ কুমার পাল ও রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রকল্পটির পরিচালক ও গাজিপুর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবু তাহের মাসুদ।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জিএম মোরশেদুল বারী ডলারের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে কৃষক ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের সূত্র মতে, বারি ফলসা-১ নতুন ফলের ইনব্রিড জাত হিসেবে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় বীজ বোর্ডের প্রত্যয়ন পায়। এটি মূলত: স্থানীয় ফলের নতুন জাত। এই ফলটি প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। দীর্ঘ দশ বছরের চেষ্টায় বারি ফলসা-১ হিসেবে ফলসা ফিরিয়ে এনেছে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। নতুন এই ফলের জাতটি সম্প্রসারণে এই মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়েছিলো।

মাঠ দিবসের এই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উচ্চফলনশীল বারি ফলসা-১ মে-জুন মাসে পরিপক্ক হয়। ছোট ও গোলাকার প্রতিটি ফলের ওজন দশমিক ৬৬ গ্রাম। টক মিস্টি স্বাদের পরিপক্ক ফলের রং পুরোপরি বেগুনি হয়। এ ফলের ৮৮ শতাংশই খাওয়া যাবে। এই ফলের মিষ্টতা ২৪ শতাংশ। বছরে এই ফলের ফলন হবে ২০ কেজি। ফলসায় রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ