অর্থ-বাণিজ্য, এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: ইউক্রেন থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সূর্যমুখী তেল সরবরাহ। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে টালমাটাল সূর্যমুখী তেলের বাজার। ফলে আগামী অর্থবছর ভারতে ৪-৬ লাখ টন অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনই জানিয়েছে দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।

ক্রিসিল রেটিংসের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ভারত বছরে প্রায় ২৩০-২৪০ লাখ টন ভোজ্যতেল ব্যবহার করে। এর মধ্যে ১০ শতাংশই আসে পরিশোধিত সূর্যমুখী তেল থেকে। কিন্তু কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় তেলটির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে।

পড়তে পারেন: সূর্যমুখী তেল আমদানি বন্ধ করেছে ভারত

ভারত দেশীয় ভোজ্যতেলের চাহিদার ৬০ শতাংশই পূরণ করে আমদানির মাধ্যমে। আমদানিনির্ভর হওয়ায় দেশটি চলমান সংকটে ভয়াবহ বিপাকে পড়েছে। ভারত বার্ষিক চাহিদার ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল ইউক্রেন (৭০ শতাংশ) ও রাশিয়া (২০ শতাংশ) থেকে আমদানি করে। আমদানির গড় পরিমাণ দাঁড়ায় ২২-২৩ লাখ টনে। বাকিটুকু আর্জেন্টিনা ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

সম্মিলিতভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়া ভারতের বাজারে প্রতি বছর ১০ লাখ টন অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল রফতানি করে। এছাড়া আর্জেন্টিনা দেশটিতে সাত লাখ টন রফতানি করে।

ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার প্রধান প্রধান ব্যাংকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাদ দেয়া হয়েছে সুইফট সিস্টেম থেকেও। ফলে দেশটির সঙ্গে পণ্য বাণিজ্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ৩০-৩৫ দিনের জন্য কাঁচামালের মজুদ রাখে। এটি তাদের জরুরি পরিস্থিতিতে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি মজুদ রাখাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরবরাহ সংকটের কারণে সূর্যমুখী তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে দাম নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ