ডাল রপ্তানীর অবস্থায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ডাল রপ্তানীর অবস্থায় বাংলাদেশ, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এখন আমারা ডাল রপ্তানির মতো অবস্থা পৌঁছেছি। আর বিদেশী প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।



আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের তাঁর অফিসকক্ষে University of Western Australia Director Professor Dr.William Erskine এর নের্তৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এসব কথা উঠে এসেছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের জন্য সহজ প্রোটিন ডালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। এক সময় কানাডা থেকে প্রচুর পরিমান মুশুর ডাল আমদানি করা হতো, এখন আমারা ডাল রপ্তানির মতো অবস্থা পৌঁছেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপকূলীয় এলাকায় ডাল ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ হচ্ছে। নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলায় পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সয়াবিনের আবাদ হয়। সয়াবিনের আবাদ আরও বাড়াতে হবে।

এছাড়াও দেশের চরাঞ্চলে বরিশাল,পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুণাতে সয়াবিনের চাষ হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চল ভিত্তিক নতুন নতুন ডালের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মূলত বাংলাদেশে ডাল নিয়ে গবেষণার কাজ করেন। গবেষণার জন্য বছরে ৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দিয়েছে তারা।

বৈঠকে জানানো হয়, ডাল আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অভাব পূরণে, তৃনভোজী প্রাণির স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, মাটির উর্বরতা শক্তি ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ডাল জাতীয় ফসলের ভূমিকা অন্যতম। ডাল ফসলে প্রচুর পরিমান উদ্ভিজ্জ আমিষ পাওয়া যায়। প্রজাতিভেদে ডাল ফসলে আমিষের পরিমাণ ২০-৩০%।

প্রতিনিধ বৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া উপযুগী নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও আবাদ করতে হবে। দেশের উপকূলিয় এলাকা ছাড়া উত্তরাঞ্চলেও ডালের আবাদ করা যায়।

তারা বলেন, আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধমে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তারা পরামর্শ দেয় বাংলাদেশের গবেষণার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নাই বরং গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত নতুন ডালের জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে হবে। সাতক্ষিরায় লবাণাক্ত সহিষ্ণ জাত আবাদ করা যায়।

মন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় দেশে মোট ডালের উৎপাদন হতো ২ থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন। এবছর উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন,যেখানে শুধু পটুয়াখালী জেলায় উৎপন্ন হয়েছে ২-২.৫ লাখ মেট্রিক টন মুগ ডাল।

তিনি বলেন, আমরা মাসকালাই এর নতুন জাত উদ্ভাবন করেছি সহজ আবাদযোগ্য। ২০০৯ সালের আইলার আঘাতের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় যার ফলে আজ দক্ষিণাঞ্চলে ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সেখানে এক ফসলের পরিবর্তে বছরে ৩টি ফসল হচ্ছে।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন Dr. Eric Huttner, Australian Centre for International Agriculture Research; Dr. Richard James, Senior Scientist CSIRO Australia; Dr.M.G Neogi , Deputy Project Leader, University of Western Australia|

ডাল রপ্তানীর অবস্থায় বাংলাদেশ, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সংবাদটির তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ঢাকায় অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব হচ্ছে