ডিএপি সারের দাম কেজিতে

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এবার ডিএপি সার কিনতে কৃষকদের কেজিপ্রতি খরচ করতে হবে ১৬ টাকা। ডিএপি সারের দাম কেজিতে ৯ টাকা কমলো।

২০০৯ সালের আগে এক কেজি ডিএপি সার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯০ টাকা, ২০১৪ সালে কমিয়ে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এবার কেজিতে ১৬ টাকা করা হলো।

কৃষিমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষকদের স্বার্থে ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর, ২০১৯) সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।

এসময়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া প্রস্তাবটি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।

ডিএপি সারের দাম কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এজন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।

বর্তমানে দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে। কৃষদের উৎপাদন খরচও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

জানানো হয়, ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়।

এ সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয় জানিয়ে এই কৃষিবিদ বলেন, ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে।

প্রতিবছর সারের জন্য সরকারকে সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএপি সারের দাম কেজিতে ৯ টাকা কমলো সংবাদটি তৈরিতে কৃষি বাতায়ন ও বিডি নিউজ২৪.কম থেকে তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সারের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ কমে যাবে।

আরও পড়ুন: আলু রপ্তানীতে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পর্যবেক্ষণ পূরণ ও নতুন বাজার তৈরির আহ্বান