পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ডিম হলো প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডিম একটি আদর্শ খাবার।

এসব তথ্য জানিয়েছন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বি.এস.এম.এম.ইউ) সাবেক উপাচার্য্য ডাঃ কামরুল হাসান খান ও বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ (মহুয়া)।

শিশুদের জন্য ডিম একটি আদর্শ খাদ্য উল্লেখ করে ডাঃ কামরুল হাসান বলেন, ভ্রুণ থেকে শুরু করে জন্মগ্রহণের পর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত সময় পেশী ও হাড়ের গঠন, ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ও মেধার বিকাশ ঘটতে থাকে।

আর এ সময়ে প্রাণিজ আমিষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের জন্যও প্রোটিনের প্রয়োজন অপরিহার্য।

বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ (মহুয়া) বলেন, মানের বিচারে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের চেয়ে প্রাণিজ প্রোটিন ভাল। কারন প্রাণিজ প্রোটিনে অধিক পরিমানে অ্যামিনো এসিড থাকে।

ডিম কে ‘প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব বয়সের মানুষের জন্য ডিম দরকারি, এমনকি কার্ডিয়াক রোগির জন্যও স্বাস্থ্যগত অবস্থা বুঝে ডিম দেয়া হয়ে থাকে।

শিশুর সঠিক ও দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এবং প্রি-স্কুলের বাচ্চাদের জন্য উন্নতমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মুরগির বুকের মাংসে চর্বি কম থাকে। চামড়া ফেলে দিয়ে চিকেন উইংস খাওয়ার পরামর্শ দেন মহুয়া।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে তা শরীরে জমে থাকে কিন্তু প্রোটিন থাকেনা। তাই প্রোটিন খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ‘প্রোটিন ফর অল’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস্ সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউ.এস.এস.ই.সি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।