তরমুজ চাষে ব্যস্ত সাবেক

তরমুজ চাষে ব্যস্ত সাবেক বনদস্যু কিবরিয়া, আউয়াল শিরোনামে লেখাটি যমুনা টেলিভিশন এর বিশেষ প্রতিবেদক, মোহসীন-উল Mohsin Ul Hakimহাকিম তাঁর ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করেছেন। লেখকের নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে লেখাটি এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো।

খুব অল্প বয়সেই অপরাধের নানা পথ তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কখনও সেই পথ এড়িয়ে গেছে, আবার কখনও কখনও অপরাধ টেনেছে, বুঝে বা না বুঝে সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে ভিড়ে গেছে অপরাধে। চলছিলো বেশ। টাকা পয়সা রোজগার হচ্ছিলো ভালোই। কিন্তু ওই জীবন তো আর স্থায়ী নয়। ধরা পড়ে মামলা… তারপর বড় ভাইদের দ্বিচারীতা.. শুরু হয় ফেরারি জীবন… এরপর জীবন বাঁচাতে সুন্দরবন.. শুরু বনদস্যু জীবন।

বলছিলাম, সুন্দরবনের সাবেক বনদস্যু কিবরিয়া মল্লিকের কথা। ছোট্টবেলা বাপ-ভাই এর সঙ্গে সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতো। তারপর অপরাধ জীবনের শেষের দিকে বনদস্যুতা করে সবশেষ বনদস্যু হিসেবে আত্মসমর্পণ করেছে কিবরিয়া। জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে চলছে জীবনে ফেরার চেষ্টা।

এবছর দাকোপে জমি ভাড়া নিয়ে তরমুজের চাষ করছেন কিবরিয়া। ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে সঙ্গী এবার আউয়াল। আউয়ালও সাবেক বনদস্যু। সমবয়সী এই দুই তরুণ এবার তরমুজের চাষ করবেন। আশা করি, ফলন ভালো হবে…

অস্ত্র ছেড়ে বনদস্যুরা এখন ব্যস্ত নানা কাজে: সাবেক বনদস্যুদের কেউ মাছের ঘের করেছে, কেউ দিয়েছে মুদির দোকান, কেউ কেউ মটরসাইকেল-ইজিবাইক অথবা ভ্যান চালিয়ে জীবন চালাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় ছাড়া তাদের মামলাগুলো প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। শুনেছি সেই কাজ চলছে। কিন্তু সময় লেগে যাচ্ছে। যা সাবেক বনদস্যুদের চলার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা।

মামলায় অনেকের জামিন বাতিল হচ্ছে। যেতে হচ্ছে জেলখানায়। আর মামলা চালানোর খরচ তো লাগছেই। সামান্য রোজগার চলে যাচ্ছে আদালতের বারান্দায়। এরই মধ্যে টিকতে না পেরে আবারও কয়েকজন ফিরে গেছে ফেরারি জীবনে। দ্রুত মামলাগুলো প্রত্যাহার না হলে সামনে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে সকলের জন্য…

তরমুজ চাষে ব্যস্ত সাবেক বনদস্যু কিবরিয়া, আউয়াল শিরোনামের লেখাটি ও ছবি যমুনা টেলিভিশন এর বিশেষ প্রতিবেদক ও দেশের গুণী সংবাদকর্মী মোহসীন-উল হাকিম এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া।

আরও পড়ুন: ইলিশ কী বাঁচলো তাহলে?