ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাঠের পর মাঠ হলুদে একাকার। কৃষকরা ৪৪৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। মাঠজুড়ে সরিষার ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।

সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তৃত এলাকা। এমন চোখ জুড়ানো হলুদের মেলা প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে গুণ গুণ করে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছিরা। সেইসঙ্গে কৃষকরাও এবার ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। যদি প্রকৃতি বিরূপ আচরণ না করে তাহলে এবার তাদের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য মতে এবার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ৪২৭ হেক্টর জমিতে। যা গতবছর তুলনায় আবাদের পরিমান দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও গত বছর থেকে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে বেশ গুরুত্ব দেয় সরকার। সেকারণে এবার সরিষার চাষ বাড়িয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের সরিষা চাষি শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ২ কানি জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। কানি প্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে আরো নিউজ পড়তে পারেন:

গোদাগাড়ীর মাঠ জুড়ে দ্বিগুন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ

খরচ কম, লাভ বেশি সরিষার আবাদ বৃদ্ধি

শীতকালে সরিষার তেল ব্যবহারে যেসব উপকার পাওয়া যায়

সরিষার পাতা ঝলসানো রোগের সমাধান

মাছিমপুর গ্রামের কৃষক হরমুজ উদ্দিন জানান, গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি ফলন ভালো ও দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরো অনেকেই ঝুঁকবেন ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে এবং গতবছর তুলনায় এবছর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা হেক্টর প্রতি সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.৩৯ মেট্রিক টন।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা সরকারিভাবে উন্নত জাতের সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। যে কারণে কৃষকরা আগ্রহ করে সরিষা চাষ করেছে। আমরা আশাবাদী, আগামীতে সরিষার চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। সেই সঙ্গে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশ একসময় তেল ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ