আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশের রাজশাহীতে ইঁদুর চাষ করে লাখপতি হওয়ার গল্প শুনে অবাক হয়েছেন অনেকে। তবে, ঘটনাটি যেমন সত্যি ঠিক তেমনই আরেক ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার তানজানিয়ায়। সেখানে তেলাপোকা চাষ করে আয় করছেন এক কাঠমিস্ত্রি।

কাঠমিস্ত্রি লুসিয়াস অন্যরকম এক চাষের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আর সেটা হলো তেলাপোকার চাষ। চীনসহ কয়েকটি দেশ তার চাষ করা তেলাপোকা আমদানি করে। বিশ্ববাজারে লুসিয়াসের চাষ করা তেলাপোকার জনপ্রিয়তা বাড়লেও তার সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ এখনো এটা সহজভাবে নিতে পারছে না।

কাঠমিস্ত্রি হলেও একটি পেশার ওপর ভরসা করে থাকেননি লুসিয়াস। তেলাপোকা বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করেন তিনি। প্রথমে তিনি নিজের পোষা প্রাণীদের খাওয়াতে তেলাপোকা চাষ করেন। চীনের বাজারে তেলাপোকার চাহিদা থাকায় তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন।

অন্তত ৭০ প্রজাতির তেলাপোকা রয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগই দেখা যায় শৌচাগার বা টয়লেটে। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে এবং জঙ্গলে দেখা যায় কয়েক প্রজাতির তেলাপোকা। তবে কিছু তেলাপোকা রয়েছে, যেগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। সেসব তেলাপোকায় রয়েছে প্রোটিন; যা মানবদেহে প্রোটিনের অভাব দূর করে।

লুসিয়াস বলেন, আমি যখন তেলাপোকা চাষ শুরু করি, মানুষ ভাবছিল আমি পাগলামি করছি। খুব কম বিনিয়োগেই চাষ শুরু করেন তিনি। একটি তেলাপোকার ডিম থেকে ৩০-৫০টি বাচ্চা বের হয়।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেলাপোকা সাধারণত নোংরা স্থানে থাকে। সে কারণে এগুলো দেখলেই মানুষ তা মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে ভালো পরিবেশে রাখা গেলে এসব তেলাপোকায় ক্ষতি নেই। এগুলো পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। সূত্র: বিবিসি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ