নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সরকার দক্ষিণাঞ্চলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন।

ডিএই কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর প্ল্যানিং অ্যাক্টির্ভিটি ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা জানান। আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটের আ.কা.মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষির অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে ডিএই মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপ দিতে সরকার দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বিশেষ জোর দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভুট্রার পাশাপাশি সর্জান পদ্ধতিতে খেসারি, মুগ ডাল এবং লবণ সহিষ্ণু ধানের জাত ব্যাপকভাবে চাষ করা যায় তাহলে এ অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। দক্ষিনাঞ্চলে যে লবনাক্ততা সমস্যা রয়েছে তাও দূল হবে।

প্রকল্পের সফল কার্যক্রমে স্বল্পজীবনকালীন জাতের চাষ সম্প্রসারণ, কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে রিপার সরবরাহ, সোলার আলোক ফাঁদ স্থাপন এবং মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং-এর পরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি  ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিপকল্পনা উইং এর প্রধান মো: আনোয়ার হোসেন এবং এলজিইডি- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (আইডব্লিউ আর এম ও প্রশিক্ষণ) পি.কে. চৌধুরী।

দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের তিন বিভাগের গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বাগেরহাট জেলার ৫৮ উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম বস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পটির লীড এজেন্সী হিসেবে বাস্তবায়নে রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা। জুলাই ২০১৩ হতে শুরু জুন ২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।