জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সারাদেশের মত রাজশাহীতেও দাম কমার নাম নেই তেল ও চালের। ভরা মৌসুমে দাম বেশি হওয়ার যৌক্তিক কারণ না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। তবে এ সপ্তাহে আবারও কমেছে বেশ কিছু সবজির দাম।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে নগরীর সাহেব বাজারসহ কয়েকটি কাচাঁ বাজার ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীতের মধ্যেও কাচাঁমাল ও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় সবজির দোকানে।

তবে আবারও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম।এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত সয়াবিন প্রতি লিটারে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।আর গত সপ্তাহের মতোই খোলা জাতের সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়। কবে নাগাদ কমতে পারে দাম জানেন না বিক্রেতারা।

নগরীতে কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি আবারও ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে বেশ কিছু সবজির দাম। গত সপ্তাহে ২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, ফুলকা ১০ টাকা, কলা হালি প্রতি ১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে বেশ কিছু সবজির দাম। গত সপ্তাহের মতোই টমেটো ৩০ টাকা, শিম জাতভেদে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ২০ টাকা, কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া করলা ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
আবারও কমেছে আলু ও কাঁচামরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। আর ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

তবে গত সপ্তাহের মতোই দেশি জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা দরে। আর আদা আগের মতোই জাতভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও রসুন ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এসময় সবজি ক্রেতা আইনজীবী উত্তম কুমার বলেন, সবজির দাম অনেক অনেক কমেছে। সবজির দামে সন্তুষ্ট। তবে নতুন করে মাছ-মাংসের দাম বাড়ছে। আর তেলের দাম তো বেড়েই চলেছে।

বাজারে শাকের মধ্যে প্রতি আঁটি (এক কেজি) লাল শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা, ধনে পাতা ২০ টাকা, সবুজ শাক ২০ টাকা ও পালং শাক ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব রকমের চাল। আগের মতোই আটাশ ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫ টাকা, কালোজিরা আতপ ১০০ টাকা, বাসুমতী ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা, চিনি গুড়া ৯৫ টাকা রনজিত ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের মধ্যে, প্রতি কেজি ইলিশ আকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, সিলভার ১২০ টাকা, রুই ২২০ টাকা, পাবদা ৪৮০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ টাকা, বাটা মাছ ১২০ টাকা, মৃগেল জাতভেদে ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, দেশি কৈ ৬০০ টাকা, পুটি ৫০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, আড় মাছ ৭০০ টাকা, কাতলা মাছ ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার ১৩০ টাকা, সোনালী ২০০ টাকা, দেশি মুরগী ৩৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৫০ টাকা, দরে বিক্রি হয়েছে।

আর কেজিতে ৫০ টাকা কমে রাজহাঁস ৪০০ টাকা ও আগের মতোই পাতিহাঁস ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আগের মতোই গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ডিমের মধ্যে পোল্ট্রির সাদা ডিম ২৪ টাকা, লাল ডিম ২৮ টাকা ও হাঁসের ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ