ঝড় বৃষ্টি

কৃষি আবহাওয়া ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নামছে দেশের মাটিতে। তবে বৃষ্টির সাথে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস নেই। আপাতত তিন বিভাগে বৃষ্টিরর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ বুধবার (২৩ মার্চ) আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি / বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চৈত্র মাসের কড়া গরমে অনেকটাই অতিষ্ট হয়ে পরেছেন দেশের মানুষেরা। অনেক দিন ধরেই বৃষ্টির প্রত্যাশা করছেন সবাই। বৃষ্টির খবরে স্বস্তির আভাস মিললেও রয়েছে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির। এ জন্য সবাইকে থাকতে হবে সাবধান। বিশেষ করে বিভিন্ন ফসল আবাদে বেশ বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। একাধিক সেচ দিয়ে জমির উর্বরতা ধরে রাখতে হচ্ছে।

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে। রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ায় বলা হয়েছে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাপপ্রবাহ: দেশের ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

যা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়াবিদ শাহীনুর রহমান জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হলেও অনেক স্থানে আবহাওয়া প্রায় আগের মতোই থাকতে পারে। বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে,

ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, মায়ানমার উপকূল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দূর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরবর্ততে সুষ্পষ্ট লঘুচাপ এবং সর্বশেষ মায়ানমার ভূখন্ডে লঘুচাপে পরিণত হতে পারে।