নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: আমদানির অনুমতি দেয়ার দেড় মাসের বেশি সময় পর ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান এসেছে দেশে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। বিডিএস কর্পোরেশন নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো এনেছে।

গতকাল রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে করে আমদানি করা মুরগির ডিম বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে রাখা হয়েছে। শুল্কসহ প্রতিটা ডিমের দাম পড়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা।

দেশে দফায় দফায় দাম বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছে ডিমের ডজন। সরকারের তদারক ব্যবস্থা জোরদার করার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর আরও দুই দফায় ছয় কোটি করে ১২ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি করেছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানির পরিমাণও খুবই কম।

বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দেয়ার পর এর প্রথম চালান হিসেবে ঢাকার বিডিএস করপোরেশন রোববার সন্ধ্যায় ভারতীয় মালবাহী একটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছে। যার প্রতিটা ডিমের আমদানি মূল্য পড়েছে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা। শুল্ক ১ টাকা ৮০ পয়সা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় অংশের পরিবহন খরচ। তাতে মোট দাম পড়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। এরপর দেশের অংশের পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ যোগ হবে।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম বলেন, সন্ধ্যায় একটি ট্রাকে করে ভারত থেকে প্রথম ডিমের চালান এসেছে। ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলা ট্রাকে ওই ডিম রাত ১০টার দিকে বন্দর ছেড়ে গেছে।

ডিম আমদানিকারকের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সৈয়দ মহিদুল হক বলেন, এক কোটি ডিম আমদানির অনুকূলে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি আমদানি করেছে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান। শুল্কসহ প্রতিটা ডিমের আমদানি মূল্য ৭ টাকার মতো পড়েছে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ যুক্ত হবে।’

বাংলাদেশে ডিম আমদানি নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজন হলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দিতে পারে।

নিউজনাউ/এমএইচ/২০২৩