অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর দীর্ঘ ৩ মাস ১৫ দিন পর বাংলাদেশে ফের পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। ফলে ২ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।

গতকাল সোমবার ( ২৮ ডিসেম্বর ২০২০) রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানান।

রাতেই প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি শুরুর বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।

আরোও পড়ুন: প্রযুক্তি নির্ভর পরিকল্পনায় পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধির তাগিদ

নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। তবে ১ জানুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ২ জানুয়ারি পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

“ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বলে সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।” বলে গণমাধ্যমকে বলেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন ও পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন।

তাঁরা বলেন , ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মেলায় আমরা এরই মধ্যে এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে যেহেতু পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করেনি ভারত সরকার সেহেতু আমদানিকারকরা যে দামে পেয়াঁজ কিনবে সেই দামেই আমদানি করতে পারবে। তবে প্রতিটন পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২৫০ ডলার মূল্যে এলসি খোলা হবে।

দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ