বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে এ ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (০১ নভেম্বর ২০২০) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদানকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানি করছে শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারত

মন্ত্রী বলেন, তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি, অর্থাৎ বাংলাদেশি ৫৫ টাকায়। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের নির্ভরতা বেড়েছে। এখন তাদের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত আগে থেকে আমাদের কিছু বলেনি, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। গতবার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ায় তেমন অস্থিরতা হয়নি।

অর্থনীতি বিটের প্রতিবেদকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে এটা আসলেই সঠিক দাম কি-না। আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।

আরও পড়ুন: `পেঁয়াজ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে‘

এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কে ফয়সাল বিন সিরাজ, রয়টার্সের সাবেক বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদিরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এগ্রিকেয়ার / এমবি