ধানের দাম নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধানের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, দ্রুতই সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে, দ্রুতই এর সমাধান করা হবে।

আজ সোমবার (২০ মে) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়ে) এর আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।



এ সময়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সব বাস্তবায়ন করা হবে।

ধানের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, দ্রুতই সমাধান হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। সরকার কৃষকের পাশে আছে বলে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ন করেছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমীক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে এই জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ভাগ পর্যন্ত ভর্তূকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকিকরণ ব্যবহৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত  দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।

কী হয়েছিলো সেদিন ক্ষেতে আগুন দেয়া কৃষক আব্দুল মালেকের

কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষনার বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। সরকারি গাড়ী প্রযুক্তি হস্তান্তারের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানান কৃষি মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী ৪৪টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ীর চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০২২  মেয়াদি প্রকল্পটি ৩ শ ১৫ কোটি টাকার । এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পুর্ন হলে এর মাধ্যমে কৃষকদের সক্ষমা বৃদ্ধি পাবে,ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে ।

দেশের কৃষিজাত পণ্য আমদানি ও বেসরকারিভাবে বড় বিনিয়োগ করবে চীন

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।