ধানের পোকা নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিকভাবে

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধানের পোকা নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিকভাবে পার্চিং পদ্ধতি খুবই কার্যকরী বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদ মোঃ আলীমুজ্জামান মিয়া, পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), ক্রপস উইং, খামারবাড়ি, ঢাকা।

তিনি বলেছেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে জমিতে পুঁতে রাখা লম্বা গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চিতে ফিঙ্গেসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে জমির উপরিভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে।

‘এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে ক্ষতিকর মাজরা পোকার আক্রমণ হয় না। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়। বিষ প্রয়োগ না করার কারণে পরিবেশ দূষণ হয় না। আর্থিকভাবেও কৃষক লাভবান হয়।’

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২০) গাজীপুর জেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশরিতা ব্লকের দিঘধা গ্রামের কৃষক মোঃ সুরুজ্জামান মিয়ার বোরো, জাত: ব্রিধান-৮১এর জমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্চিং উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজীপুর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পার্চিং এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ মো. আলীমুজ্জামান।

বোরো ধানের পোকা দমনে পার্চিং উৎসবে জানানো হয়, বিষ প্রয়োগ না করে পাখি বসার ব্যবস্থায় ধান ক্ষেতে বাঁশের কঞ্চি স্থাপন করে পোকা দমনের এ কৌশলকে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করণে এ উৎসব পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মাহবুব আলম, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাজীপুর, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি),মোঃ শাহ আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ সাবিনা সুলতানা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বনানী কর্মকার এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ কৃষক-কৃষানীরা।

ধানের পোকা নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিকভাবে পার্চিং পদ্ধতি খুবই কার্যকরী সংবাদটির তথ্য গাজীপুর থেকে ফরহাদ আহমদ পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গগত, দেশজুড়ে এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এই পার্চিং পদ্ধতি। এতে সুফলও পাচ্ছেন কৃষকেরা। এর ব্যপকতা ও প্রশিক্ষণ আরও বিস্তৃত করার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকেরা। পার্চিং পদ্ধতি অনুশীলন যত বেশি চারদিকে ছড়িয়ে পরবে ততবেশি সুফল পাবেন কৃষকেরা।

আরও পড়ুন: আদা চাষে ঝুঁকি কম, লাভ বেশি এবং পতিত জমিতেও চাষ করা যায়