নতুন অর্থবছরে কৃষি ও

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নতুন অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই, ২০১৯) সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রথম ও প্রধান তিনটি লক্ষ্য তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃষি ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়।



এসময়ে নতুন অর্থ বছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস, এম, মনিরুজ্জামান ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য বিষয়াদি সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোট ২৪,১২৪.০০ (চব্বিশ হাজার একশত চব্বিশ) কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি (২০১৯-২০২০) অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০.৬৬ শতাংশ বেশি। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ১০,৩৭৫.০০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য ১৩,৭৪৯.০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকসমূহ মোট ২৩,৬১৬.২৫ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮.৩৩%।

বিগত অর্থবছরে মোট ৩৮,৮৩,৪২৪ জন কৃষক কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন, যার মধ্যে ব্যাংকসমূহের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৬,০১,৮৫৬ জন নারী প্রায় ৭,১৯০.৫৫ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

উক্ত অর্থবছরে ২৯,৮৯,২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬,৩২২.৮৭ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৯,৯৫০ জন কৃষক প্রায় ৩১.৬১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: কাজুবাদাম, রাম্বুটান, কচুরিপানার ডাবল বেডে আলু চাষে মিলবে কৃষি ঋণ

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং কৃষকদের নিকট কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু সময়োপযোগী বিষয় সংযোজিত হয়েছে।

এই নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়সমূহ হচ্ছেঃ

এমএফআই লিংকেজের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান; কাজুবাদাম চাষে ঋণ প্রদান; রাম্বুটান চাষে ঋণ প্রদান; কচুরিপানার ডাবল বেড পদ্ধতিতে আলু চাষে ঋণ প্রদান; ১ টাকা  হতে যে কোনো অংকের সকল বকেয়া শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে কিন্তু নতুন মঞ্জুরি বা নবায়নের জন্য ২.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না।

ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা (বীজ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের জন্য) সংযোজন; শস্য/ফসল খাতে ঋণ বিতরণের জন্য একর প্রতি ঋণ সীমা যৌক্তিক পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ।

গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, ছাগল ও ভেড়া পালনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। বাণিজ্যিকভাবে রেশম উৎপাদনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

এটুআই কর্তৃক গৃহীত কৃষি ও পল্লী ঋণ সহজীকরণ সিস্টেমটির পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন।  নতুন অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে (২২ জুলাই হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত) সারাদেশের আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি