নতুন জাতের বোরো ধান

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নতুন জাতের বোরো ধান চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে নাটোরের কৃষকদের। গত কয়েক বছর কৃষকরা বোরো ধানের ভাল দাম না পেলেও নতুন করে এখন বোরো ধানের চারা রোপন ও পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নতুন জাতের ধান আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বালাইমুক্ত, উৎপাদন সময় কম, তাই খরচ সাশ্রয় এবং ফলন ভাল হওয়ার আশা নিয়ে তারা এ নতুন জাতের বোরো ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত ও রোপণ কাজে সময় দিচ্ছেন কৃষকেরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কৃষকরা ইতোমধ্যে নতুন জাতের বীজ (ব্রি- ধান- ৫৮, ৮১, ৮২, ও ৮৪ জাতের) রোপণ শুরু করেছেন।

আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ অনুকূলে থাকলে অন্যান্য জাতের তুলনায় একটু আগেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন এমন আশা করছেন দেশের বৃহত্তম চলনবিল ও হালতিবিলের কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এসব নতুন জাতের বোরো ধানের উৎপাদন আশানুরূপ হওয়ায় নতুন জাতের বীজের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকরা ভাল ও গুণগত মানের বীজ সহজেই পেয়ে যাবে। কৃষকদের কারো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে না।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি ২০১৯-২০ বোরো মৌসুমে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৭০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৯৪ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কৃষি বিভাগ। গত অর্থ বছর ৬১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, এবার জেলার বেশির ভাগ কৃষক নতুন জাতের ধান উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, নতুন জাতের বীজ বিশেষ করে জিরাশাইলের বিপরীতে ব্রি ধান-৮১ জাত, ব্রি-২৮ ও ২৯ এর বিপরীতে ব্রি ধান-৫৮, ৮১ ও ৮৪ জাত, ব্রি ধান ২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৫৮ জাত এবং স্বর্ণার বিপরীতে ব্রি -৮২ জাতের ধান আবাদ করছেন।

আরও পড়ুন: এ সময়ের বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ক্ষতি এড়াতে যা করতে হবে

কৃষকরা এরপরেও সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ধান বীজ রোপণ করছেন ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ জাতের। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে বোরোর বীজ রোপণ শুরু হয়েছে চলবে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা তোলার পর কৃষকরা বোরো চাষ করবেন। সে কারণে বোরো আবাদ শেষ হতে সময় লাগবে। কৃষকদের যথাযথ চেষ্টা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসলের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে যোগ করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: আমের মুকুলে অ্যানথ্রাকনোজ ও হপার নিম্ফ রোগের প্রতিকার

নতুন জাতের বোরো ধান চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে নাটোরের কৃষকদের শিরোনামের সংবাদটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।