নাটোর প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ‍্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের অধিকাংশ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। ফলে গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতার দেখা পেয়েছেন নাটোর নলডাঙ্গা উপজেলার বহ্মপুর ইউনিয়নের সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ কিশোয়ার হোসেন জানায়, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিএডিসি থেকে সরবরাহকৃত ভারত থেকে আমদানিকৃত এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ উপজেলার ১৮০ জনকে প্রদান করা হয়।প্রণোদনার ১৮০ জন কৃষকের মধ্যে একজন কৃষক মোঃ মিজানুর রহমান এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গার সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর তিনি ১৭ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন নাসিক-এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। রোপণ থেকে তার পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযোগী হতে সময় লেগেছে ৮৫-৯০ দিন। চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মাথায় হাত

ভরা মৌসুমে ভারত থেকে ঢুকছে পেঁয়াজ, হু-হু করে কমছে দাম

নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল কৃষকরা

বাজারে উঠেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ, দামে হতাশ চাষিরা

ইতোমধ্যে ৫ কাঠা জমির পেঁয়াজ উত্তোলন করেছেন। কাঠা প্রতি ফলন হয়েছে ৬ মণ। এ হিসেবে বিঘায় ফলন হবে ১২০ মণ। বাজারে এ পেঁয়াজ ১ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধকরণ তাদের সহায়তা ও নিয়মিত পরিদর্শনে আমি এই আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি।

এ বিষয় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, কৃষক মিজানুর রহমান সফলতার সঙ্গে এই পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তা সর্বোচ্চ ৪-৫টি হচ্ছে এক কেজি। আমরা নিয়মিত তাকে পরামর্শ, পরিদর্শনসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন,দেশের মানুষের জন্য সারা বছর পেঁয়াজের খাদ্য চাহিদা মেটানো, বছরজুড়ে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ জন্য সরকার কৃষকদের বিনামূল্যে সরকারি প্রণোদনার বীজ, সার ও আন্তঃপরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে আগ্রহী হন। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে সজাগ আছেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ