নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন (এনডিসি) বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার কাজটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে।

আজ (বুধবার ) বিশ্বখাদ্য দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কনফারেন্স হলে ইনিস্টিউশন অব ফুড প্রফেশনালস, বাংলাদেশ ও ফুড সেফটি মুভমেন্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষেরে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার, এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী, গেইন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার, ইউএসআইডির কান্ট্রি লিড পলিসি এর ফাহিম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনিস্টিউশন অব ফুড প্রফেশনালস, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মঞ্জুরুল হক।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ড. আব্দুর রউফ মামুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড সেফটি মুভমেন্ট এর মহাসচিব মো. ইউনুছ আলী।

প্রধান অতিথি বলেন, আমরা অনেক পথ এগিয়ে এসেছি বলেই এখন খাদ্য নিরাপদ কিনা সে প্রশ্ন সামনে আসছে। এখন থেকে ৩০ বছর আগের বাংলাদেশের কারো মাথায় নিরাপদ খাদ্যের একটি আন্দোলন হতে পারে বা প্রয়োজন হতে পারে এমন চিন্তা দুরুহ ছিলো।

তিনি বলেন, আমরা অনেক খানি এগিয়েছি এটা যেমন সত্য, তেমনি আমাদের আরো অনেক খানি পথ সামনে যেতে হবে এটাও সত্য। এর জন্য এখন যা প্রয়োজন তা হচ্ছে, সবাইকে বেশী করে গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে খাদ্য নিয়ে সমাজে যে ভীতি তা দূর কারার উদ্যোগ নেয়া ।

কিন্তু কোন পরিবর্তনকে মানুষ সহজে মেনে নিতে চায় না এটাই সত্য ; এর জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিকাশমান বাংলাদেশের জন্য টুরিজম অন্যতম একটি সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনা তৈরীতে নিরাপদ খাদ্যের গ্যারান্টি পূর্বশর্ত। তাছাড়া আমাদের রপ্তানী তালিকায়ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। যা নির্ভর করছে নিরাপদ খাদ্যের গ্যারান্টির উপর। তাই সম্ভাবনাকে কাজে লাগনো ও পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা সফল হবো।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, নাগরিকের সুস্বাস্থ রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ২০১৮ সালে ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ডব্লিউএইচও, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) সাথে যৌথভাবে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে “ফুড সেফটি মুভমেন্ট” এর মহাসচিব মোঃ ইউনূছ আলী বলেন, “ফুড সেফটি মুভমেন্ট” একটি নাগরিক প্লাটফর্ম যেটি ২০১৯ সাল থেকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক সংগঠন জাইকা, গেইনসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংস্থা।

বিশ্বনিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি, বাজার অ্যাক্সেস, পর্যটন এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা। খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং পদক্ষেপগুলিকে অনুপ্রাণিত করা।

সকলকে খামার থেকে টেবিল পর্যন্ত সমগ্র সরবরাহ শৃঙ্খল জুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি। তবে কারও একার পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়। তাই দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনর সকলের অংশগ্রহনও প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাঙ্গার ফ্রী ওয়ার্ল্ড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, এ্যালকিউমাস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দা কানিজ ফাতেমা, জাইকা এসিআইআরসি প্রজেক্টের . জহুরুল হক,মো. রবিউল ইসলাম, মো. নাসিম উদ্দিন, গোলাম রসুল প্রমূখ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ