ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। নানা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ এ ফল হাড় শক্তসহ শরীরের নানা কাজে লাগে। রমজান মাসে ইফতার ছাড়াও মুখরোচক, বলবর্ধক খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা শিরোনামে সংবাদটি জাগো নিউজ থেকে নেওয়া হয়েছে।

আাসুন নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই-
ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে: খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। খেজুরে উপস্থিত পটাসিয়াম অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকে হাই ব্লাড প্রেসারে কী খাবেন বুঝে উঠতে পারেন না। এই সমস্যায় নির্ভাবনায় খেজুর খান।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে। এটি আপনার হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ভালো হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। প্রতিদিন খেজুর খেলে হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যেমন, পাকস্থলীর ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে খেজুর।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: খেজুরে আছে ফাইবার। যা আপনার হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং ভালো রাখে। আরও আছে পটাসিয়াম, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে এড়াতে পারে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খেজুর খান।

স্নায়ু সতেজ রাখে: খেজুরে স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখার সমস্ত ভিটামিন আছে। এই ভিটামিনগুলি স্নায়ুতন্ত্রকে আরও উন্নত করে। শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত পটাসিয়াম মস্তিষ্ককে ধারালো রাখে। স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতির জন্য রোজ খেজুর খাওয়া উচিত।

বাতের ব্যথা দূর করে: খেজুরে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেসিয়ামে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে যা হৃদরোগ (রক্ত জমাট বাঁধা), নিয়োপ্লাজিয়া এবং অ্যালজাইমার্স জাতীয় রোগ রুখতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাক রোধ করে: আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের একটি গবেষণা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি একদিনে ১০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৯% হ্রাস পায়। তাই হদরোগ থেকে দূরে থাকতে খেজুর খান রোজ।

গর্ভবতীদের জন্য উপকারী: আয়রনে সমৃদ্ধ খেজুর মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য খুব দরকারি। খেজুরে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান জরায়ুর পেশি শক্তিশালী করতেও কাজ করে। মায়ের দুধে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি সন্তান প্রসবের পরে রক্তক্ষরণের সময় শরীরে রক্তর অভাব মেটায়।

রক্তস্বল্পতা দূর করে: লোহিত রক্তকণিকা এবং আয়রনের ঘাটতির কারণে অনেকে রক্তাল্পতায় আক্রান্ত হন। রক্তাল্পতা মানে শরীরে রক্তের অভাব। খেজুরে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায়। তাই রক্তাল্পতার চিকিৎসার জন্য এটি অব্যর্থ। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমে।

দাঁত মজবুত করে: খেজুরে পাওয়া যায় ফ্লুরিন। এটি এমন একটি রাসায়নিক যা দাঁত থেকে প্লাক সরিয়ে গর্ত হওয়া বন্ধ করে। শুধু এটিই নয়, দাঁতের এনামেল আরও শক্তিশালী করে। ঝকঝকে করে তোলে দাঁত।

ত্বক ও চুল ভালো রাখে: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খেজুর ত্বককে স্থিতিস্থাপক রাখে এবং এটিকে নরম করে তোলে। খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন বি ৫ স্ট্রেচের চিহ্ন দূর করতেও কার্যকরী। শুধু তাই নয়, এটি চুলকে স্বাস্থ্যকরও রাখে। ভিটামিন বি ৫- এর অভাবের কারণে চুল দুর্বল হয়ে ডগা ফেটে যেতে শুরু করে। রোজায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা আরও রয়েছে সুতারাং প্রতিদিন নিয়মিত খান পুষ্টিতে ভরপুর এ ফলটি।

নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা শিরোনামে সংবাদটি জাগো নিউজ থেকে নেওয়া হয়েছে।