নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পাট খাতে অবদানের জন্য সরকার ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

আগামী ৬ মার্চ বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় পাট দিবস পালিত হবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, একইসঙ্গে তিন দিনব্যাপী পাটজাত পণ্যের মেলা শুরু হবে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’।

আগামী ৬ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৬ থেকে ৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী পাটজাত পণ্যের মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘এবারের মেলায় সেরা পাটচাষি, বীজ উৎপাদনকারী, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা বেসরকারি পাটকল, সেরা কাঁচা পাট রফতানিকারক, সেরা পাটজাত পণ্য রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান, পাটের সুতা রফতানিকারক, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানিকারক, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী পাটকল এবং সর্বোচ্চ পাট সরবরাহকারী সহকারী প্রতিষ্ঠান ও সেরা বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাসহ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম বলেন, ‘সারাদেশে পাট খাতের মাত্র ৮ শতাংশ অবদান বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি)। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বিজেএমসি মুনাফা করছে মাত্র দুই বছর। সামান্য লাভের মুখ দেখলেও ৪৬ বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তারপরও বিজেএমসিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে পাটচাষিদের স্বার্থে। তা না হলে বেসরকরি পাটকল মালিকদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে পাট খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত পাট খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামসুল হক,তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো :রফিকুল ইসলাম , বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, রেজাউল কাদের সহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এর তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার।