নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ মারা যাওয়ার আগে মাছের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কি করলে আর মাছ ভাসবে না এবং মাছ ভাসার অন্যতম কারণ অক্সিজেন স্বল্পতার আগাম পরিচর্চা কিভাবে করতে হয় তা জানা একান্ত জরুরি। আসুন জেনে নিই পুকুরে মাছ ভাসার কারণ ও করণীয়।

পুকুরে মাছ ভাসার কারণ ও করণীয় বিষয়ে এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা।

পুকুরে মাছ ভাসার কয়েকটি কারণ রয়েছে:

১. মাছ ভাসার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল অক্সিজেন স্বল্পতা । মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে পানির ভেতর থেকে। আবার পুকুরের অন্যান্য অণুজীব ছাড়াও ফাইটোপ্লাঙ্কটন, জু-প্লাঙ্কটন অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। এসবের পরিমান বেড়ে গেলে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

মাছ পানির উপর স্তরে এসে খাবি খায় তখন সহজেই বুঝা যায় দ্রবিভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে । এসময় এ্যারেটর যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং হররা টানলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি সমস্যা হলে অক্সিজেন পাউডার অথবা অক্সিজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।

২. খাবার বেশি দিলে এবং খাবার হজমে সমস্যা হলে মাছ ভেসে উঠে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে খাবার দিতে হবে। পারতপক্ষে ভাসমান খাবার দিতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিতে হবে, জানতে হবে মাছ ভাসার কারণ কি, প্রতিকার কি হতে পারে এবং কি পরিচর্চা নিলে অক্সিজেন শর্ট হবে না ।

৩. মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পরিমিত জায়গার চাইতে বেশি পরিমান মাছ পুকুরে রাখলে মাছের অক্সিজেন ঘাটতি হয় এবং মাছ ভেসে ওঠে। সেইসাথে মাছ মারা যায়। প্রয়োজনে বাজারজাত করার উপযোগী মাছ পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

৪. মাছের খাবার হিসেবে ডুবন্ত খাবার ব্যবহার না করাই ভালো। ভাসমান খাবার ব্যবহার করলে মাছ কতটুকু খায় সে বিষয়ে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান খাবার দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরের তলায় পঁচে কোন সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না।

৫. বাড়িতে বা পুকুরের স্টোররুমে অক্সিজেন ট্যাবলেট বা পাউডার রাখা দরকার। মাছ ভাসলে কিংবা অক্সিজেনের পরিমান খুবই কম মনে হলে সাথে সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে।

৬. মাছ ভোরে ভাসলে চুন দিয়ে দিতে হবে। যদি দুপুরে ভাসে তাহলে লবন দিয়ে দিতে হবে। শতক প্রতি ২০০ গ্রাম কিংবা পরিমান অনুযায়ী।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ