অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শারদীয় দুর্গা পূজার পর ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

পূজার পর এসব এলসির পেঁয়াজ কীভাবে কোন পথে সরবরাহ করা যেতে পারে, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছেন দেশটির রফতানিকারকরা।

এর আগে বিভিন্ন সময় অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখে ভারত। এরপর স্থলপথে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে দুটি জাতের পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যদিও আমদানিকারকরা এ পথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী নন।

ভারতীয় রফতানিকারকদের বরাত দিয়ে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগের এলসিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রফতানিকারকদের কাছ থেকে এলসির কপি গ্রহণ করে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। সেই এলসিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৯ অক্টোবর দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক বসার কথা ছিল।

ওই বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভোক্তা অধিকার খাদ্য ও বণ্টনবিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল এবং তার ওপরই স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগের দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে শুক্রবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল বলে ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জানান।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন বলেন, পূজার পর ছাড়া এ বিষয়ে সিন্ধান্ত আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে পেঁয়াজবাহী ২৫০ ট্রাক আটকা পড়ে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১০ হাজার টন এলসি দেয়া ছিল, তার কার্যক্রমও বন্ধ রাখে ভারত।

পূজার পর পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত ভারতের শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ