নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাত্র দু-তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। আমদানি কম হওয়ার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কম  হলেও আমদানি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া দুই দিনের ব্যবধানে ৩৫ টাকা কমে দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ার ফলে বেড়েছে দাম এবং দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে কমেছে দাম- এমনই বলছেন ব্যবসায়ীরা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১৮-২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ২৪-২৮ টাকায় উন্নীত হয়েছে। একইভাবে খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগে ১৫-১৮ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে ২২ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

পড়তে পারেন: পাকিস্তানে পেঁয়াজের কেজি ৩০০, আলু ১০০, টমেটো ৪০০ টাকা

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। যার ফলে দেশের বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আমদানিকারকদের থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কমেছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, আগে আমদানি বেশি হয়েছিল। পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত সপ্তাহে আমরা ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫-১৮ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম। বর্তমানে দাম বাড়তি।

প্রতি কেজি ২২ টাকা দরে বিক্রি করছি। এর মূল কারণ বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়া। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহও কম। এদিকে ভারতের বাজারেও দাম বেড়েছে। এসব বিষয় বাজারে প্রভাব ফেলেছে।

পড়তে পারেন: পেঁয়াজের কেজিতে কমেছে ৫ টাকা

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগে বন্দর দিয়ে ৩০-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকলেও তা কমে ২০-২৫ ট্রাকে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ২৬টি ট্রাকে ৭০৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দুই দিনের ব্যবধানে কমেছে দাম। আমরা জয়পুরহাট, নওগাঁ থেকে এসব কাঁচামরিচ এনে বিক্রি করি। এখন দাম কমেছে যার জন্য কম দামে বিক্রি করছি। আগের থেকে বিক্রি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ