নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি কমে গেলে দাম বাড়াতে প্রয়োজনে আমদানি বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুমে দাম কম থাকে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। আবার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখলে একটু দাম বাড়ে। তাতে ভোক্তাদের কষ্ট বাড়ে ও সমালোচনা শুরু হয়। এটি সরকারের জন্য উভয়সংকট। সেজন্য সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়। ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে পেঁয়াজবীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকালে গতকাল এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

পেঁয়াজবীজ চাষীদের জন্য ঋণের ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা ঝুঁকি নিয়ে, পরিশ্রম করে পেঁয়াজ চাষ করে। তাদের স্বার্থ দেখতে হবে। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং হচ্ছে। সরকার পেঁয়াজবীজ উৎপাদন ও এসব বীজ ব্যবহার করে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এক বছরে সরকার সাত লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। শিগগিরই পেঁয়াজবীজ ও পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সমস্যা হলো পেঁয়াজ খুবই পচনশীল। দেশে এখনো পেঁয়াজের পচন রোধে কোনো প্রযুক্তি নেই। সংরক্ষণের জন্য কোনো কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা যায়নি। সেজন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সম্প্রসারণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ