পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পোল্ট্টি খাতে বর্তমানে সরকারী নজরদারি জোরদারে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর থাইওয়া রেস্টুরেন্ট এর কনফারেন্স হলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে চট্টগ্রামে পোল্ট্রি সেক্টরে সরকারী তদারকি জোরদারে ভোক্তাদের করনীয় শীর্ষক কর্মশালায় সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কিন্ত নাগরিক সমাজের সক্রিয় ও যথাযথ অংশগ্রহন নিশ্চিত না হলে সরকারের সে উদ্যোগে কাংখিত ফল আসবে না।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জমান, চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারী সার্জন ডা. সেতু ভুষন দাস।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাকিবুল ইসলাম ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের আইবিপি প্রজেক্ট কো-অডিনেটর মোস্তফা কামাল।

আলোচনায় অংশ নেন ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্ষুদ্র খামারী রুখসানা আখতারুন্নবী, মোহাম্মদ ইউসুপ, ফিড বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আল রহমান, ক্যাব নেতা সেলিম জাহাঙ্গীর, আনোয়ার হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রুবি খান, মুক্তা শেখ মুক্তি, ক্যাব চট্টগ্রামের ডিপিও জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সুপারিশগুলোর মধ্য রয়েছে, প্রাণী সম্পদ অফিসের সক্ষমতা, জনবল ও লজিস্টিক সমস্যা, প্রাণী সম্পদ সেক্টরের জন্য আইন ও বিধির স্বল্পতা, পোল্ট্রি খাতে নজরদারি প্রতিষ্ঠায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণহীনতা, পোল্ট্রি খাতে ভ্রাম্যমান আদালত অনিয়মিত, ভোক্তাদের অসচেতনতা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য, অনেক সময় গুজব ছড়ানো।

ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারীদের সরকারী প্রণোদনা নাই, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারী ও বৃহৎ উদ্যোক্তাদের জন্য একই ধরনের নীতিমালা, সরকারী কর ও অন্যান্য নিয়মকানুন, ভোক্তা ও ক্ষুদ্র খামারীদেরকে প্রশিক্ষণ সুবিধা কম, পোল্ট্রি ফিডের মান যাচাইয়ে স্থানীয় ভাবে সুবিধার অভাব চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, এ থেকে পরিত্রান পেতে নাগরিক পরীবিক্ষন বাড়ানো, প্রাণী সম্পদ অফিসের মতো অন্যান্য সরকারী সেবা সংস্থার কার্যক্রমে ক্যাব, মিডিয়ার মতো নাগরিক পরিবীক্ষন সংস্থাগুলির অংশগ্রহন বাড়ানো, ভোক্তাদের মাঝে আরো বেশী সচেতনতা ও শিক্ষা প্রদান করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারীদেরকে সরকারী প্রণোদনার আওতায় আনা, পোল্ট্রি ফিড, বাচ্চার মূল্য নিয়ন্ত্রণ, কম সুদে উদ্যোক্তাদের ঋন প্রদান, বিদ্যুৎ বিল, সরকারী লাইসেন্স ও মান ফিস কমানোর দাবি জানানো হয়।