নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রাণিখাতের মাধ্যমে বর্তমানে শতকরা ২০ ভাগ প্রত্যক্ষ এবং ৫০ ভাগ পরোক্ষভাবে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI) এর মিলনায়তনে ৮ ও ৯ অক্টোবর ২দিনব্যাপী “BLRI এর বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ওয়ার্কশপ-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের উৎসাহ ও সহযোগিতায় শহর-গ্রামে এখন খামার ও পশুপালনের হার বাড়ছে। এ কারণে দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

কর্মশালায় সারাদেশ থেকে প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন, রোগনিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত আমিষের উৎপাদনে গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানী, গবেষক, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ-কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিসহ ৩ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।

বিএলআরআই এর মহাপরিচালক নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. এনামুর রহমান এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ-মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. কবির ইকরামুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

দুদিনব্যাপী এ কর্মশালায় গতবছরের গবেষণাকার্যক্রম, তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কর্মরত বিশেজ্ঞদের বাস্তব অভিজ্ঞতার পর্যালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যা-সমাধানে পলিসি-মেকারদের দৃষ্টি-আকর্ষণ করে সুপারিশমালা প্রণনয়ন করা হবে।

এ লক্ষ্যে দুদিনে মোট ৬২টি গবেষণা-প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এরমধ্যে ৩৫টি প্রবন্ধাকারে এবং ২৭টির পোস্টারভিত্তিক উপস্থাপনা করা হবে।

মোঃ রইছউল আলম মন্ডল বলেন, সরকার দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরীসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে স্বল্পসুদে ঋণ এবং প্রাণি খাদ্য ও কৃষিযন্ত্রাংশ আমদানীতে শুল্কহ্রাসসহ নানাবিদ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে গত পাঁচ বছরে দেশে দুধের উৎপাদন ৩৪ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন হতে বেড়ে ৯৪ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। মাংসের উৎপাদন ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন থেকে ৭২ লাখ ৬০ হাজার টন এবং ডিমের উৎপাদন ৭ কোটি ৩৮ লাখটি থেকে বেড়ে ১৫ কোটি ৫২ লাখটিতে উন্নীত হয়েছে।

এতে বক্তারা বলেন, নবনব প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং নিরাপদ আমিষের উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রাণিখাতের গবেষণাকার্যক্রম আরো জোরদারা করতে হবে।

সরকারও স্বল্প জায়গায় অধিক নিরাপদ আমিষের উৎপাদনবৃদ্ধি লক্ষ্যে দেশে অঞ্চলভিত্তিক সমস্যানিরুপন করে নতুন-নতুন গবেষণাকার্যক্রম গ্রহণ করেছে, বর্তমান যা সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি।

তারা মাঠপর্যায়ে প্রযুক্তির বাস্তবায়নে ধীরগতিতে অসন্তোষপ্রকাশ এবং BLRI এর আঞ্চলিক কার্যালইয়-স্থাপনের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারপ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক  মোঃ আজহারুল আমিন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কমর্কর্তা ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম তালুকদার।