নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক চারটি প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ (৩০ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে এসব প্রযুক্তি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তর করা প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার বলেন, বিএলআরআই কর্তৃক হস্তান্তরিত চারটি প্রযুক্তি যেমন ডোল পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে শুষ্ক মৌসুমে প্রাণির উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

স্বর্ণা লেয়ার স্ট্রেইন, প্যরেন্ট ষ্টক আমদানীতে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় তা সাশ্রয়ী হবে। উন্নয়নকৃত দেশী মুরগীর জাত সমূহ মানুষের দেশী মুরগীর ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

মুরগীর এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের এইচ আই পরীক্ষার জন্য বিদেশ থেকে এন্টিজেন আমদানী থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় তা সাশ্রয় করবে।

প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের ফলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

তিনি জানান, স্বল্প জায়গায় অধিক নিরাপদ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অঞ্চল ভিত্তিক সমস্যা নিরুপন করে নতুন নতুন গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরী ও প্রয়োজনীয়।

মন্ত্রী বলেন, মেধাবী জাতি গড়তে হলে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। এ জন্য গবেষণা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। জাতীয় প্রয়োজনে নব নব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।  হস্তান্তরিত এই প্রযুক্তিগুলো গুরুত্বের সাথে সম্প্রসারণ করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. এনামুর রহমান, মোঃ রইছউল আলম মন্ডল, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ আইনুল হক, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ঢাকা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিস্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আজহারুল আমিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীসহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।   এগ্রিকেয়ার২৪.কম এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোঃ শাহ আলম, তথ্য কর্মকর্তা, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা।