অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের খাদ্য ভান্ডারে প্রভাব পড়েছে। শুধু মানুষের নয় সমান প্রভাব পড়েছে পশুখাদ্যে; বেড়েছে চাহিদা। তবে, সেই তুলনায় নেই সরবরাহ। আগাম আন্দাজ করে ২০২২-২৩ মৌসুমে চীন পশুখাদ্য উৎপাদনে রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন আমদানি করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস।

সংস্থাটি বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে সয়াবিন আমদানি ১০ কোটি টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময় তেলবীজ উৎপাদন বাড়বে অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ কোটি ২৪ লাখ টনে। সরকারি প্রণোদনা ও স্থানীয় বাজারদরের কারণে উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে সয়াবিন উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৭৪ লাখ টন। ২০২১-২২ মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে ১০ লাখ টন।

২০২২-২৩ মৌসুমে তেলবীজ ব্যবহার বেড়ে ১৬ কোটি ৬৭ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। ২০২১-২২ মৌসুমে ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টন।

ইউএসডিএ বলছে, তেলবীজের চাহিদা, বিশেষ করে পশুখাদ্য খাতে স্থানীয় উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ কারণেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সয়াবিন আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। চীন সরকারের তেলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মোট ব্যবহারের ৬২ শতাংশই পূরণ করতে হবে আমদানির মাধ্যমে। এমনটা মনে করছে ইউএসডিএ।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে চীন। একই সময়ে ব্রাজিল থেকে পণ্যটির আমদানি কমেছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের আমদানীকৃত সয়াবিনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ টন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত সয়াবিনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ টন। জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস এ তথ্য জানিয়েছে।

একই সময়ে ব্রাজিল থেকে সয়াবিন আমদানি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮২ লাখ টন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম। ২০২০ সালে ব্রাজিল থেকে আমদানীকৃত সয়াবিনের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৪৩ লাখ টন।

ওয়াশিংটনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব ধরনের কৃষিপণ্য আমদানি বাড়ানোর জন্য সম্মত হয় চীন।

২০২১ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ কোটি ১৬ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেশি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের আমদানীকৃত সয়াবিনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৩ হাজার টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ কোটি ৬৬ লাখ টন কম।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ