শীর্ষ চাল আমদানিকারক হতে

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নতুন মৌসুমে উৎপাদিত চাল বাজারে আসতে শুরু করায় দুই মাস ফিলিপাইনের চাল আমদানি বন্ধ। এসময় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপাইন সরকার।

প্রতিবছর নতুন মৌসুমে দেশটিতে চালের সরবরাহ বেড়ে গিয়ে রেকর্ড দরপতন ঘটে। দরপতন রোধে ফিলিপাইনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবার খাদ্যপণ্যটির বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অক্টোবর ও নভেম্বর—দুই মাস চাল আমদানি করবে না বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স ও সাকসেসফুল ফার্মিং।

দেশটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ২৫-৩০ লাখ টন চাল আমদানি করে। এ কারণে ফিলিপাইনের বাজারে আমদানিতে উত্থান-পতন আন্তর্জাতিক বাজারে (বিশেষত এশিয়ার প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোয়) চালের মূল্য নির্ধারণে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী উইলিয়াম দার বলেন, একদিকে নতুন মৌসুমের ধান-চাল বাজার উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে চলতি বছর শেষে দেশে চালের মজুদ বেড়ে গত এক দশকের সর্বোচ্চে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় ফিলিপাইনের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের রেকর্ড দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরোও পড়ুন: প্রয়োজনে সীমিত পরিমাণে চাল আমদানি

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি

এ পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্যটির বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ কমিয়ে আনার বিকল্প নেই। মূলত এ চিন্তা থেকে চলতি অক্টোবর ও আগামী নভেম্বরে চাল আমদানি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বর থেকে খাদ্যপণ্যটির আমদানি প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে প্রায় ২০ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। বছরের বাকি সময়ে আরো তিন লাখ টন চাল আমদানির জন্য এরই মধ্যে পাইপলাইনে রয়েছে।

উল্লেখ্য, চাল আমদানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ফিলিপাইনের অবস্থান শীর্ষে। ফিলিপাইনের চাল আমদানি বন্ধ শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ