নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:চলতি মাসের শুরুর দু-সপ্তাহ রাজশাহীতে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ফের বাড়ছে চালের দাম। অন্যদিকে সবজির দামে কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে, চালের দাম বাড়ার কারণ জানেন না খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বাড়ার তেমন কোন কারন দেখা যাচ্ছে না। ভারত থেকে মোটা চাল আমদানি হলেও মানুষ সেসব মোটা চাল খায় না। মানুষ চিকন চালে অভ্যস্ত। হটাৎ গত দু-দিনে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি দেড়’শ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। অনেকে পূর্বের কম দামে কেনা চাল বর্তমানে আগের দামেই বিক্রি করছেন। তাতেও লাভের ঘাটতি পড়ছে না বলে বলছেন তারা।

নগরের সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া এলাকার পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুশিল স্টোর এগ্রিকেয়ার.কমকে জানান, গত ১৫ দিন ধরে চালের দাম বাড়েনি। ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া আরো বাড়তো চালের দাম। আবার দেড়’শ থেকে ২০০ টাকা বাড়লো।

সুশীল স্টোরের মালিক সুশীল জানান, এক সপ্তাহ আগে আঠাশ চালের ৫০ কেজির বস্তা ২৮’শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৫৬ টাকা থেকে ২ টাকা বেড়ে আঠাস এখন ৫৮ টাকা, শরনা ৪৫-৪৮, জিরাশাল ৫৮-৬০ টাকা ও বাসমতি ৬৮ টাকা, পায়জাম ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৮০ টাকা( দিনাজপুরী) ও লোকাল বাজারের কাটারিভোগ সিদ্ধ ৬৫ টাকা, কাজললতা ৬০, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ৯০, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রায় সব চালের দামেই একটু বাতাস লেগেছে, বেড়েছে এক থেকে ২ টাকা।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১) রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার, মনিচত্ব, কাদিরগঞ্জ চালের বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, সবজির দামে মার খাচ্ছেন চাষিরা। সময় ও আবহাওয়ারে সাথে পাল্লা দিয়ে ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারেন নি তারা। দ্রুত শীত চলে গিয়ে এক ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে বলে শীতকালীন সবজি চাষিদের অভিযোগ। বাজারে অল্পদামে বিক্রি হচ্ছে নানান সবজি। চলতি মাসের শুরু থেকেই সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাতাকপি-ফুলকপি রকমভেদে ৫-১০ টাকা পিস, বিভিন্ন শাক ১০ টাকা কেজি, আদা-রসুন আগের দামেই বিকি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা এবং ১০০- ১২০ টাকা। কাঁচামরিচ ৪০ টাকা কেজি। এছাড়াও ২০ টাকা কেজি দরে মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, স্কোয়াস, টমেটো পাওয়া যাচ্ছে। আলুর দাম একটু নড়ে বসেছে, ১২ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১৪ টাকা।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম ঠিক আছে; অল্প দামে সবজি পেয়ে খুশি তারা। অন্যদিকে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুন্ন। করোনা মহামারিতে স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। নিন্মমধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষরা চালের দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমলে বেশ সুবিধে হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ