আবু জাহিদ, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মরুর ন্যায় ধু ধু বালু মাঠ আর একটা একাডেমিক ভবন ছাড়া দৃশ্যমান কিছুই ছিল না। ছিল না তেমন কোন সতেজ প্রাণের সঞ্চার। গ্রীষ্মের প্রখরতায় ঝাঁঝিয়ে থাকতো ক্যাম্পাসের নিস্পৃহ বালুময় ৫৫ একর।

শুরুতে গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর পরিস্থিতি ছিলো এমন। তবে এ দৃশ্যের দ্রুত পরিবর্তন আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের একান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায়।

কয়েক বছরের ব্যবধানেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নিস্পৃহ রূপ বদলে গেছে, মরু খ্যাত ক্যাম্পাস এখন সবুজে ভরা। পরিবেশও শীতল।

বশেমুরবিপ্রবি আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি বালু ভরাটকৃত ৫৫ একর জমির উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের প্রচেষ্টায় বালু প্রান্তর থেকে সবুজের সমারোহে ছেঁয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

৫৫ একরের এই ছোট পরিসরের ক্যাম্পাসকে তিনি ভরিয়ে তুলেছেন হাজারো প্রজাতির ফুল, ফল ও ওষধি গাছ দিয়ে। দেশী বিদেশি শত শত প্রজাতির গাছের সংগ্রহশালায় রুপ নিয়েছে ক্যাম্পাস।

শীতের মৌসুমে রীতিমতো ক্যাম্পাসের হাজারো প্রজাতির ফুলের শোভা উপভোগ করতে স্থানীয়দের ভীড় জমে। তথ্য মতে প্রায় ২২ হাজার প্রকার গাছের সমাহারে সমৃদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এর মধ্যে বনজ গাছ আছে ২৮০০, ফলজ গাছ প্রায় ৭০০০, ভেষজ ১০০০, শোভাবর্ধনকারী গাছ ১০০০০ এবং দেশি বিলুপ্ত গাছ প্রায় ১০০০। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য গাছের সংরক্ষণ  ভান্ডার হিসেবে খ্যাত এই ক্যাম্পাস।

এছাড়া গোপালগঞ্জ কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বৃক্ষ রোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৬ এর খ শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির প্রচেষ্টায় ক্যাম্পাসে  বাদাম চাষ করে ঈর্ষনীয় সফলতা এসেছে।  এতে স্থানীয় চাষিরাও বাদাম চাষাবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছে।