নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বছরের টানা দু-দফায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে শত শত হেক্টও জমির ধান। বন্যায় ডুবে যাওয়া এসব ধানের পরিচর্যা নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। আসুন জেনে নিই বন্যায় ডুবে যাওয়া ধানের পরিচর্যা করবেন যেভাবে:

১.বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর আলোক সংবেদনশীল জাতের( বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৪৬, নাজিরশাইল অতবা অন্য কোন স্থানীয় জাত) ধানের ৪০-৬০ দিন বয়স্ক চারা গোছা প্রতি ঘন করে রোপণ করতে হবে।

২. বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর চারার রা পাওয়া গেলে অন্য কোন উঁচু জমির ধানের গোছা থেকে কুশি আলাদা করে পানি সরে যাওয়া জমিতে রোপণ করতে হবে।

৩. এরপর নিবিড় পরিচর্যার অংশ হিসেবে ধানের পাতায় লেগে থাকা কাদা ধুয়ে ফেলতে হবে। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর ৭ দিন পরে বিঘা প্রতি ৭-৮ কেজি ইউরিয়া, ৫-৬ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।

৪.বন্যা পরবর্তী সময়ে ধানের পোতা মোড়ানো পোকা ও গলমাছি বা নলিমাছির আক্রমণ হতে পারে। নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক আক্রমণ হওয়ার পূর্বেই দমনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ধান গাঠ পাতা মোড়ানো এপাকা দ্বারা আক্রান্ত হলে কারটপ/ ম্যালাথিয়ন/ ফেনিট্রোথিয়ন( ৫৭ তরল) কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। জমিত গলমাছি দেখা গেলে ডায়াজিনন(৬০ তরল)/ক্লোরপাইরফস (২০তরল)/ কারটপ (৫০ পাউডার) কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৫.বন্যা পরবর্তী ধানে ব্লাস্ট ও বাাদমি দাগ রোগ দেখা যেতে পারে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারসহ ব্লাস্ট রোগে নেভিটো/ ট্রুপার থোড় এবং ফুল আসার পর বিকেল বেলা প্রয়োগ করতে হবে। বাদামি রোগের জন্য বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৫-৭ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।

৬.এছাড়া লক্ষীর গু রোগ প্রতিকারের জন্য থোড় অবস্থায় এবং ফুল আসার পর বিকেল বেলা কপার এবং প্রপিকোনাজল ছত্রাকনাশক মিশ্রিত কওে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ভালো সুফল পাওয়া যাবে।

বন্যায় ডুবে যাওয়া ধানের পরিচর্যা করবেন যেভাবে শিরোনামে সংবাদের তথ্য  বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট  প্রকাশ করেছে।