সজিবুল ইসলাম হৃদয়, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে একই সাথে বরই চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন ওমান ফেরত সাইফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই বন্ধুর। তারা প্রথম বছরেই ৩ লাখ টাকা লাভ করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার মিল্কিপাড়া গ্রামের সুবহান সরদারের ছেলে সাইফুল ও আব্দুলপুর গ্রামের কাজু সরকারের ছেলে একটা সময় একসাথে মেলায় প্লাষ্টিকের খেলনা ও কসমেটিকস বিক্রি করতেন। ৫ বছর একসাথে ছিলেন ওমানেও। ওমান থেকে ফিরে এ দুই বন্ধু ৭-৮ মাস আগে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নত জাতের ১৪০০ টি বল সুন্দরী ও বাউ কুলের চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন।

পড়তে পারেন: ‘বল সুন্দরী’ বরইয়ে বাজিমাত, আয় ৫ লাখ ২০ হাজার

বর্তমানে গাছে গাছে থোকায় থোকায় দুলছে বরই। এমন সাফল্যে যেন দুই বন্ধু ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। বরই নিয়মিতই বাজারজাত করা হচ্ছে বলে তারা জানান। যার বাজারমূল্য হবে সাড়ে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, আমরা দুই বন্ধু মিলে ওমান থেকে ফিরে ফলের বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত ৭-৮ মাস আগে মিশ্র ফলের বাগান করার চিন্তা করে মোটামুটি ১৪শ বরই ও ৬শ পেয়ারা গাছ রোপন করি। এ পযন্ত বাগানে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে বর্তমানে বরই বাজারজাত করে সাড়ে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পাবো বলে আমরা আশাবাদী এবং সেই সাথে পেয়ারা গাছ থেকেও ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি আমরা।

পড়তে পারেন: আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার এবার ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হয়েছে। যার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯শ মে.টন। বরই চাষ লাভজনক হওয়ায় নতুন করপ অনেকে এবার বরই চাষ শুরু করেছে।সেইসাথে কৃষি অফিস থেকে তাদের বাগানে সকল সহযোগিতা প্রদান করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে তারা লাভবান হবে এবং এলাকার বাকি বেকার যুবকরাও ফল বাগানে উদ্বুদ্ধ হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ