নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি যেন কোনো অনয়িম ও দূর্নীতি না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ আলী’র সভাপতিত্বে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি-সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় জানানো হয়, এপ্রিল’ ২০১৮ পর্যন্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)’র ৪৬.০২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত এডিপিভুক্ত মোট ২১টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ২৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে।

এ অর্থ মোট বরাদ্দের ৬২.৩২ শতাংশ। একই সময়ে ১৮৯ কোটি ৫৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা মূল্যমানের কাজ সম্পাদিতত হয়েছে, যা বরাদ্দের বিপরীতে আর্থিক অগ্রগতির হার ৪৬ দশমিক ০২ শতাংশ।

প্রতিমন্ত্রী  মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দফতর বা সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন। প্রকল্পের আওতায় আধুনিক ও উৎকৃষ্টমানের মানসম্মত যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ ক্রয়ের উপর জোর দেন।

এছাড়াও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

এডিপিভুক্ত ২১টি প্রকল্পের মধ্যে বস্ত্র পরিদফতর সতেরটি, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড দুইটি, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড একটি, বিএসআরটিআই একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সভায় দেশের চাহিদা মাফিক বস্ত্র প্রকৌশলী ও বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং এক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমানেপ্রর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় প্রতিমন্ত্রী পরবর্তী অর্থবছরের প্রথম থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির হার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন।

এছাড়া তিনি প্রকল্পে গুণগত মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পরামর্শ দেন এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।