নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জাতীয় সংসদে “বস্ত্র বিল-২০১৮” উত্থাপিত হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বস্ত্র খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বস্ত্র শিল্পে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান, আধুনিকায়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ, দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ, বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী বস্ত্র উৎপাদন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং এ সম্পর্কীত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে এ বিল উত্থাপন করা হয়।

আজ ১০ জুন রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি’র পক্ষে এ বিল উত্থাপন করেন।

স্পীকার বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন। তবে বস্ত্র বিল-২০১৮ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১৫ কর্মদিবস সময় বেধে দেন ।

বিলটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ হল (ক) খসড়া ‘বস্ত্র আইন ২০১৭’ এ ২৪টি ধারা এবং ৬০টি উপধারা রয়েছে (খ) এই আইনে বস্ত্র অধিদপ্তরের কার্যাবলি যেমন বস্ত্রখাতে বিনিয়োগ, উন্নয়ন, বিপণন, পরিবহন, জাহাজিকরণ, তদারকি ও সহায়তা প্রদান ইত্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে;

(গ) রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মিলসমূহের ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও আধুনিকায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে, এক্ষেত্রে জি টু জি সহ বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে; (ঘ) উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি, নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ইত্যাদি আইনের আওতায় আনা হয়েছে;

(ঙ) বস্ত্রশিল্পের নিবন্ধন, বায়িং হাউজ নিবন্ধন, পরীক্ষাগার স্থাপন, তথ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠা ও তথ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; (চ) বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান ও প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে;ছ) বস্ত্রখাতের প্রসার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণোদনা, গবেষণা, পরিদর্শন ইত্যাদি প্রবর্তন করা হয়েছে;

উল্লেখ্য যে, বস্ত্র অধিদপ্তর বর্তমানে পোষক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন ও এ সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সম্পাদন করছে। বস্ত্র আইন ২০১৮ বাস্তবায়িত হলে বায়িং হাউজ নিবন্ধন, পরীক্ষাগার ও তথ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ, গবেষণা, পরিদর্শন, প্রণোদনা ইত্যাদি বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষন কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।