বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। এসময়ে তিনি প্রতিটি কর্মীকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উপস্থিতিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গুলনার নাজমুন নাহার’র সাথে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ আগামি ১ জুলাই ২০১৯ থেকে ৩০ জুন ২০২০ অর্থবছরের  জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গোলাম দস্তগীর গাজী এ আহ্বান জানান।



বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে।

বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দসহ দপ্তর/সংস্থার সকল প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি সম্পাদন সভায় মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দপ্তর/সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়ন এবং এর মাধ্যমে সফলতার সাথে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার,২০১৮ তে বর্ণিত লক্ষ্য ও পরিকল্পনা রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি), ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা  এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

আরও পড়ুন: ধান-চালের আদ্রতা মাপার ৩ হাজার মেশিন কিনবে কৃষি মন্ত্রণালয়

তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রত্যেককে কর্মমূখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত হতে সাহায্য করবে। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া কাজ আরো বেগবান হবে।

বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর আহ্বান জানিয়েন মন্ত্রী বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর/সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন।

এছাড়াও তিনি প্রত্যেককে তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।