এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্কঃ শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশের সবার প্রত্যাশা তিস্তা ও সুরমা-কুশিয়ারা পানি বণ্টন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে। এর মধ্যে সুরমা-কুশিয়ারা নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও, তিস্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের হায়দ্রাবাদ হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টনের মতো সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

সুরমা-কুশিয়ারা পানি বণ্টন ছাড়াও আরও ছয়টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আফতাব আলী শেখ এবং ভারতের পক্ষে সিএসআইআরের মহাপরিচালক এন কালাইসেলভি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান এবং ভারত রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার ত্রিপাঠি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি বিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকেও বাংলাদেশের পক্ষে ইমরান ও ভারতের পক্ষে বিনয় কুমার স্বাক্ষর করেন।

রেলওয়ে ও গবেষণা ছাড়াও ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।

বাকি দুটি চুক্তির মধ্যে একটি মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অন্যটি প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। মহাকাশ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ স্যাটালাইন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান মাহমুদ এবং ভারতের পক্ষে নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি রাধা কৃষ্ণান।

অন্যদিকে প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন ও ভারতের পক্ষে প্রসার ভারতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শশী শেখর ভেমপতি।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমানা এবং লাইন অব ক্রেডিট সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করে উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান ব্যাপক বিষয়ে কাজ করছে। আমি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশে ও এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ