নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলার কৃষক ও কৃষিকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নজর ছিলো সবচেয়ে বেশি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি, মৎস্য ও প্রানীসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১২ আগস্ট রোববার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তার বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, স্বাধীনতারপর যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ, গুদামে চাল নাই, ব্যাংকে টাকা নাই। বঙ্গবন্ধু বলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, আমি বাংলাকে গড়বো।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দেন। পাকিস্থানী আমলের কৃষি ঋণ মওকুফ করে দেন। এছাড়া কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রকমের গবেষণা প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী জানান, রক্ত যদি স্বাধীনতার দাম হয়, তাহলে বাংলাদেশের দাম অনেক বেশি।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বৈদেশিক চক্রান্তের ফলে একবার দেশে গম আমদানীতে কালক্ষেপন হওয়ায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে কেঁদে বললেন, আমি সব লোকদের খাওয়াতে পারলাম না।

কৃষিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। চাল উৎপাদনে বিশ্বে-তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে-তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।  বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে। দেশে আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল বইছে।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছেন, কৃষক জাতীর মেরুদন্ড। বঙ্গবন্ধু কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষি কর্মী, কৃষিবিদদের সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের বাজেটে কৃষিখাতে সর্বাধিক বরাদ্দ  রেখেছিলেন।