ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাগমারায় আলু বীজ সংকটে চাষিরা। চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আলু বীজ সরবরাহ কম রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে চলতি মৌসুমে বীজ সংকটে আলু চাষ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অপরদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সব চাষিদের খোলা বাজারে চড়া দামে আলুবীজ কেনা সম্ভব না। এতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আলু উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, বেসরকারি সংস্থা ও আরডিআরএস সহ অন্যান্য সংস্থা থেকে কৃষকের মধ্যে বীজ বিতরণ করলে সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

এবছর উপজেলায় ৪২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য বীজ আলুর প্রয়োজন প্রায় ৬৩০ মেট্রিক টন। কিন্তু সরবারাহ পাওয়া গেছে অনেক কম। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, প্রতি বিঘায় বীজ আলু প্রয়োজন ২০০ কেজি। বিএডিসির বীজ আলুর দাম জাত অনুযায়ী প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। ডিলাররা বিক্রি করতে পারবেন ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

বিএডিসি ডিলারের উপজেলা প্রতিনিধি অধ্যক্ষ সামরুল ইসলাম জানান, ১২জন ডিলারের মধ্যে সবাই আলুবীজ পাননি। কারণ, যারা বিএডিসির সরবরাহকৃত অন্যান্য বীজ নেন, তারাই আলুবীজ পেয়েছেন। তারা যে বীজ পেয়েছেন,তাদের অনেককেই নিজ জেলার বাইরে চুয়াডাঙ্গা, জামালপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আর বীজ সংগ্রহের জন্য ১ মাস আগে ডিলাররা টাকা জমা দিয়েছেন। তার কথায়, বীজ সংগ্রহ করতে অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, উঁচু জমিতে আগাম জাতের আলু লাগানো শুরু হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে দেখা দিয়েছে বীজ আলুর তীব্র সংকট।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ

আলুর কান্ড ও শুকনো পঁচা রোগ দমনে করণীয়

বাংলাদেশ ফার্টিলাজার এসাসিয়শনের বাঘা উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল গনি বাচ্চু জানান, এই উপজেলায় ৬৩০ মেট্রিক টন আলু বীজের চাহিদা থাকলেও বিএডিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৬ মেট্রিকটন বীজ। উপজেলায় বিএডিসির ডিলার রয়েছে ১২জন। সেই হিসেবে একেকজন ডিলারের ভাগে পড়ে ৩ মেট্রিক টন করে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে,ডায়মন্ড এেেগ্রট কার্ডিনাল এসটারিস্ক, কারেজসহ অন্য জাত।

উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন এর আলুচাষি শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, এবছর ৪০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করবেন। এরই ২২বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। তিনি ডিলারের কাছ থেকে বিএডিসির সরবরাহকৃত আলুবীজ কিনেছেন ৩ মেট্রিকটন। এসিআই কোম্পানীর সরবরাহ আলু বীজ কিনেছেন ৬ মেট্রিকটন। তার মতো অনেকেই কমবেশি আলু আবাদ করেন কিন্তু এবার বেশ সংকটের কারণে তা সম্ভব হবে না বলে ধারনা করছেন। কৃষকরা জানান, বাজারে বিক্রি আলু বীজের তুলনায় বিএডিসির আলু বীজের ফলন অনেক বেশি হয়। তাই এর চাহিদা বেশি থাকে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বেসরকারি সংস্থা ও আরডিআরএস সহ অন্যান্য সংস্থা থেকে আরও বীজ কৃষকের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। তবে বীজ সংকটে না পড়লে আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

বাগমারায় আলু বীজ সংকটে চাষিরা সংবাদের তথ্য রাজশাহী পোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ