নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাগমারায় চলতি বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হযেছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর ২০২০) সকার ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রনোদনা কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান।

আরও পড়ুন:রাজশাহীতে সার ও বীজ সহায়তা পাচ্ছেন ২৫ হাজার কৃষক

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, স্থানীয় সাংসদের প্রেস সচিব প্রভাষক জিল্লুর রহমানসহ আরো অনেকে।

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মসুর, খেসারী, টমেটো ও মরিচ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের নিমিত্তে কৃষি মন্ত্রনালয়ের “কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা” প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১১ হাজার ৩০০ জন কৃষকের জন্য পুনর্বাসন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে গম-৩ হাজার জন, সরিষা-৩ হাজার ৫০০ জন, সূর্যমুখী-৫৫০ জন, চিনাবাদাম-৭৫০ জন, মসুর-৮০০ জন, খেসারী-৯০০ জন, টমেটো-৬০০ জন ও মরিচ-১ হাজার ২০০ জন।

অপরদিকে, অপরদিকে চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৪৮৫০ জন কৃষকের জন্য কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এতে বোরো ধান-৬০০ জন, গম-২৩০ জন, সরিষা-১৪৭০ জন, ভুট্টা-২১৫০ জন, পেঁয়াজ-৩৫০ জন ও গ্রীষ্মকালীন মুগ-৫০ জন।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে প্রণোদনার সার ও বীজ পেলেন ৮ হাজার কৃষক

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি কৃষক পরিবার এক বিঘা জমির জন্য গমের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি বীজ, সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ, মসুরের ক্ষেত্রে ৫ কেজি, খেসারির ক্ষেত্রে ৮ কেজি বীজ, সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, টমেটোর ক্ষেত্রে ০.০৫ কেজি বীজ ও মরিচের ক্ষেত্রে ০.৩০ কেজি বীজ পাবেন। প্রত্যেক কৃষক সর্বোচ্চ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা হিসেবে পাবেন।

এগ্রিকেয়ার / এমবি